,

মাধবপুরে অবৈধ করাতকলের রমরমা ব্যবসা :: রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার

 

৯টি করাতকলের অনুমোদন থাকলেও

গড়ে উঠেছে ৫৭টির বেশি করাত কল

শেখ জাহান রনি, মাধবপুর : মাধবপুরে অনুমোদন ছাড়াই অবৈধ করাতকলের রমরমা ব্যবসা চলছে। সরকার হারাচ্ছে মোটা অঙ্কের রাজস্ব। উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি নিয়ম ও নির্দেশনা তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে গড়ে উঠেছে অসংখ্য করাতকল। স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের প্রভাব ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নজরধারি না থাকায় এ উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে এসব স’মিল বা করাত কল। এসব স’মিলের কারণে উজাড় হচ্ছে বনজ ও ফলদসহ নানান প্রজাতির গাছ; যার ফলে হুমকির মুখে পড়েছে পরিবেশ।
রঘুনন্দন রেঞ্জের অফিস সুত্রে জানা যায়, মাধবপুর উপজেলা বিভিন্ন স্থানে প্রায় ৫৭টিরও বেশি করাত কল গড়ে উঠেছে যার মধ্যে ৯ টি করাতকলের অনুমোদন রয়েছে। বাকি করাতকলগুলোর অনুমোদন নেই।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকার অবৈধভাবে স্থাপন করা করাতকল মালিকদের একটি অংশ জানান, আমরা চাই সরকারি ভাবে অনুমোদন ও রাজস্ব দিয়ে স’মিলন চালাই, আমরা অনুমোদনের জন্য বন বিভাগ অফিসে আবেদন পত্র জমা দিয়ে রেখেছি।
বন বিভাগ সূত্রে জানা যায়, বন আইন ১৯২৭ ও তৎপ্রণীত স’মিল (লাইসেন্স) বিধিমালা ২০১২ অনুযায়ী কোনো স’মিল মালিক লাইসেন্স না নিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করতে পারবে না। লাইসেন্স নেওয়ার পর থেকে প্রতিবছর তা নবায়ন করতে হবে। স’মিল স্থাপনের জন্য বন বিভাগের লাইসেন্স পাওয়ার পর নিতে হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র, এ ছাড়া যেখানে-সেখানে স’মিল স্থাপন করা যাবে না।
উপজেলার আন্দিউড়ার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের পাশে এক অবৈধ স’মিলে গিয়ে দেখা যায় শ্রমিকরা কাঠ চিঁড়া কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক বাদশা মিয়া জানান, দীর্ঘদিন আমাদের স’মিল চলছে। অনুমোদনের জন্য আবেদন করেছি এখনও অনুমোদন পাইনি।
এ বিষয়ে উপজেলার রঘুনন্দন রেঞ্জের কর্মকর্তা মোঃ মাসুদুর রহমান বলেন, অবৈধ স’মিলগুলোর প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ছাড়া অবৈধভাবে স-মিল স্থাপন বা চালানোর কোন সুযোগ নেই। আমরা কিছুদিনের মধ্যে অবৈধভাবে স্থাপন করা করাত কল/ স’মিলের বিরুদ্ধে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে।


     এই বিভাগের আরো খবর